নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ মাঠে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষকদের ভাতাগুলো আরও বাড়ুক।
আমরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। তবে আর্থিক সক্ষমতার একটি ব্যাপার রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগই বেসরকারি। কাজেই এখানে সরকারের বাজেট কতখানি লাগবে, কতখানি বাড়াতে হবে, সরকারের সক্ষমতার সঙ্গে সেটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিতে প্রধান শিক্ষকের স্কেল ভিন্ন হয়ে গেছে বলেছেন, সেটি আমরা দেখবো।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেকে দক্ষ করে তোলেন। আমি আশা করবো আপনারা সবাই প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হবেন। যেখানে সুযোগ পাবেন সব প্রশিক্ষণ নিয়ে নেবেন। এখনতো অনলাইন অফলাইন দুইভাবে প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অনলাইনেও নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন।
এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ততে প্রথম কথা হচ্ছে সরকারের সক্ষমতার একটি ব্যপার আছে। কিন্তু যদি যোগ্য শিক্ষক না হন, তাহলে এমিপওভুক্তি কি সঠিক হবে? শিক্ষক মানসম্পন্ন কিনা, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত, পাশের হার কত? শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? একটি মানদণ্ড থাকতে হবে। নিজেদের মানদণ্ডে রাখার চেষ্টা করেন। চেষ্টা করলে সম্ভব। তাহলে আমরা অবশ্যই এমপিওভুক্ত করবো।
স্বাশিপের আট দফা দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার মান অর্জন করতে। আমরা যে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছি সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান কি আরও বেড়েছে, নাকি কমেছে। এটা আগে বুঝতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে সেখানে শিক্ষা মান যদি বাড়ে তাহলে সবগুলোই জাতীয়করণ করবো। যদি মান না বাড়ে তাহলে জাতীয়করণ অবশ্যই চাইবো না।
Discussion about this post