নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ দিনের দাবি শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটকে ডেন্টাল কলেজে রূপান্তরের অনুমোদন দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার (২০ মার্চ) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডেন্টাল সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অনুমোদনের ঘোষণা দেন।
এর মধ্যে ‘চট্টগ্রাম ডেন্টাল কলেজ’ স্থাপনের লক্ষ্যে চট্টেশ্বরী সড়কে চমেক হোস্টেলের পাশে গোঁয়াছি বাগান এলাকায় স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই এলাকার ৩ একর জায়গা জুড়ে কলেজটি স্থাপন করা হবে। সেখানে ডিজিটাল সার্ভে পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, পুর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি দল এসে স্থান পরিদর্শন করে গেছেন। প্রায় ৩ একর জায়গা রয়েছে সেখানে। যেহেতু পাহাড়ী এলাকা, সবকিছু পর্যালোচনা করে ডেন্টাল কলেজটি স্থাপন করা হবে।
পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা হলে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে সহজেই দাঁত ও মুখগহ্বরের রোগের সব ধরনের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে জানান চমেক অধ্যক্ষ।
১৯৯০ সালে ৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী (বিডিএস)। গত ৩০ বছর ধরে দাঁত ও মুখগহ্বরের চিকিৎসায় অবদান রাখছেন এখানকার ডেন্টালের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছর ৬০ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে ভর্তি করা হয়। আছে বিদেশি শিক্ষার্থীও। এছাড়া চালু করা হয়েছে ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল সার্জারি (ডিডিএস) কোর্স।
হাসপাতালে আছে ৬টি ক্লিনিক্যাল বিভাগ- পেরিওডেন্টোলজি, ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি, কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডন্টিকস, পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড ওরাল ডায়াগনোসিস, অর্থোডনশিয়া এবং প্রসফোডনসিয়া।
দন্ত বিভাগের অর্থোডনটিকস ইউনিটে প্রতিদিন শতাধিক রোগী আসেন। কনজারভেটিভ অ্যান্ড এন্ডোডন্টিকস বিভাগে রুট ক্যানেল, ফিলিং করা হয়। ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারিতে মুখের ক্যান্সার, টিউমার, হাড় ভাঙ্গা ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা হয়। ইনডোরে এ ইউনিটের অধীনে ২০টি শয্যা রয়েছে।
Discussion about this post