অনলাইন ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীরা। তবে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বলেছেন, ওই নৌপথের লঞ্চগুলো শীতলক্ষ্যায় চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়।
সাধারণত মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। দুই জেলার মানুষের সহজ যাতায়াতের মাধ্যম হলো এই নৌপথ।
রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় কার্গো জাহাজ রূপসী-৯ এর ধাক্কায় ডুবে যায় মুন্সীগঞ্জগামী এমএল আফসার উদ্দিন লঞ্চ। দুর্ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ওই নৌপথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। এতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, এর আগে লঞ্চ দুর্ঘটনার সময় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুসারে আমরা মনে করছি এই নৌপথের লঞ্চগুলো শীতলক্ষ্যা চ্যানেলে চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সানকেন ডেক জাতীয় লঞ্চগুলো চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো আর চালু হবে কিনা তা পরে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে কিছুদিন পর আবারও এই লঞ্চগুলো চালু হতে পারে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে লঞ্চ মালিক সমিতি লঞ্চ চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে দাবি জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার রেশ কেটে গেলেই পুনরায় ওসব লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।
রবিবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের ১৫ থেকে ২০ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
Discussion about this post