নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতার পর দেশ যখন ধীরে ধীরে অগ্রগতির দিকে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঘাতকরা জানতো, বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন বেঁচে থাকলেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ঘাতকদের সেই ধারনা অমূলক ছিলো না, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) সাড়ে ১০টায় মহান স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়ে গেছেন কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। একটি দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে সাহসের প্রয়োজন তিনি তা বাঙালি জাতির বুকে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিলেই বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শকে ধারণ করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কথা, কাজ ও হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো ৯৪ ডলার। এরপর বঙ্গবন্ধুর সময়ে ১৯৭৫ সালে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ২৭৮ ডলারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৮০-৮৫ সাল পর্যন্ত সেটা নেমে যায় ২২৮-৪৫ ডলারে। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ ডলারে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমুদ্র আইন করে দিয়েছেন বলেই আজ আমরা সমুদ্র জয় করতে পেরেছি। এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি এসবের সূচনা তিনিই করে গিয়েছিলেন। সারা পৃথিবী আজ বাংলাদেশের দিকে অবাক হয়ে দেখে, কিভাবে এত ছোট একটি জনবহুল দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধূলিস্যাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছেন।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একেএম মাঈনুল হক মিয়াজী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ এবং প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক ড. রেজাউর রহমান প্রমুখ।
Discussion about this post