বিশেষ প্রতিবেদক
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন সুমাইয়া মোসলেম মিম নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মীম ডুমুরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন সরদারের মেয়ে।তার মায়ের নাম খাদিজা খাতুন। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী। মিম ২০১৯ সালে যশোর বোর্ডের ডুমুরিয়া গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ২০২১ সালে সরকারি এম এম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।
সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, লিখিত পরীক্ষায় সুমাইয়া মোসলেম মীম ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। সবমিলিয়ে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৯২ দশমিক ৫।
মীম খুলনা মহানগরীর ৪৭ খান জাহান আলী রোডের ডিএমসি স্কলারে মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং করতেন। কোচিংয়ের পরিচালক ডা. সিয়াম বলেন, আমরা তার ফলাফলে ভীষণ খুশি।
ফল প্রকাশের পর উচ্ছসিত মিম বলেন, আব্বু-আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমি একদিন ডাক্তার হবো। আর এখন সেটা পূরণ হতে যাচ্ছে। ডাক্তার হয়ে যেন মানুষের সেবা করতে পারি, সবার কাছে এই দোয়া কামনা করি। এই অবস্থানে আসার পেছনে আমার আব্বু-আম্মুর অশেষ ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে কলেজ ও কোচিংয়ের শিক্ষকদের কাছেও আমি চরম কৃতজ্ঞ।
মোসলেম উদ্দীন সরদার বলেন, আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। এসএসসিতে যশোর বোর্ডের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। এইচএসসিতে বোর্ডে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। সেই ধারাবাহিকতা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতেও বজায় রেখেছে। আমার মেয়ের এমন সফলতায় বাবা হিসেবে আমি গর্বিত।
মিমের কোচিং করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার বাবা মোসলেম উদ্দীন সরদার জানান, মিম কেবলমাত্র ডিএমসি ড্রিমার্স নামে একটি কোচিং সেন্টারের খুলনা ব্রাঞ্চে কোচিং করেছেন। এর বাইরে তিনি রেটিনা এবং উন্মেষে কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে রেটিনা এবং উন্মেষে নিয়মিত কোচিং করেননি তার মেয়ে।
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন কোটাসহ আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। এবার সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন এক হাজার ৮৮৫ জন ছাত্র। আর সরকারি মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা দুই হাজার ৩৪৫ জন।
Discussion about this post