নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার (৯ এপ্রিল) আইইবির কম্পিউটার কৌশল বিভাগ আয়োজিত ‘ফিউচার অব এডুকেশন ইন বাংলাদেশ পারসপেকটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে সম্মানিত আলোচকের বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘প্রাচ্যের শিক্ষা দর্শনে রয়েছে অপরিমেয় সামাজিক শক্তি।
ওরিয়েন্টাল এডুকেশন, রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে পারলেই আমাদের শিক্ষার মূল ধারায় আমরা যুক্ত থাকতে পারবো। যেমন করে রবীন্দ্রনাথ স্ট্রাকচার এডুকেশনে কী পেতেন জানি না। তবে তিনি পৃথিবীর জন্য অপরিমেয় সুধা রেখে গেছেন, ওরিয়েন্টাল এডুকেশনের যে শক্তি সেটিতে তা প্রতিফলিত হয়েছে।’
উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর আন্দোলনের কারণে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছিল। স্ট্রাকচার এডুকেশনের ফলে এটি হয়েছে। অথচ আনস্ট্রাকচার এডুকেশন বঙ্গবন্ধুকে জাতি-রাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক বানিয়েছে। এ কারণে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কোথায় যাবো স্ট্রাকচার এডুকেশনে নাকি আনস্ট্রাকচার এডুকেশনে। যদি আনস্ট্রাকচার এডুকেশনে যাই তাহলে প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিকতা অপরিহার্য।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান সময়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রয়োজন। কিন্তু আমার প্রশ্ন জাগে সব বিপ্লব অপরিহার্য ছিল সেটি যেমন যৌক্তিক। একইসঙ্গে আমরা কী মনে করি না, প্রতিটি শিল্পবিপ্লব ক্যাপিটালিজম, এক ধরনের বাজারের আধিপত্য ও রিচ সোসাইটি তৈরি করছে? প্রযুক্তির আবশ্যকতা যেমন আছে। এটিও বুঝতে হবে যে, প্রযুক্তি একইসঙ্গে বাজার এবং ঝুঁকিপূর্ণ সমাজ তৈরি করছে কিনা। যদি প্রযুক্তি রিস্ক সোসাইটি তৈরি করে তাহলে প্রযুক্তি এবং বাজার এর মধ্যে আমরা আটকে যাচ্ছি কিনা সেটি ভেবে দেখতে হবে।’ উপাচার্য আরও বলেন, ‘সব বিচেনায় বাংলাদেশ নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সঠিক পথে হাঁটছে। আমরা যদি বারবার বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের কাছে ফিরে যাই তাহলে এডুকেশনের মূল যে ধারা সেটি খুঁজে পবো।’
Discussion about this post