নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি করোনা মহামারির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পড়াশোনা এবং স্বল্প সময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছিল শিক্ষা বোর্ডগুলোকে। এ পরিস্থিতি আরও সহজে মোকাবিলা করতে এবার শিক্ষা বোর্ডের ৬০ বছরের বেশি পুরনো আইনে বড় পরিবর্তন আসছে। ১৯৬১ সালের প্রণীত ওই আইনে শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে।
দৈব-দুর্বিপাকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কাজ করতে পারে সেজন্য আইন প্রণয়ণ করা হবে। সেই লক্ষ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আইনে পরিবর্তন আসছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে তা ইংরেজি থেকে বাংলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের আহ্বায়ক অধ্যাপক তপন কুমার সাংবাদিকদের বলেছেন, শিক্ষা বোর্ড আইন পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হচ্ছে। বিশেষত করোনার কারণে কিছু বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ১৯৬১ সালের অর্ডিন্যান্সের বদলে পূর্ণাঙ্গ আইন তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।
এ আইনে মহামারির সময় শিক্ষা বোর্ডগুলোকে সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এটি আগে অস্থায়ীভাবে হলেও নতুন আইনে স্থায়ী করা হয়েছে। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গতকাল রোববার এক সভায় সংশোধিত আইন যুপোপযোগী করার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে।
তপন কুমার বলেন, অনেক আগে আইন সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হলেও কিছু সংশোধনের জন্য বলা হয়। সে কারণে নতুনভাবে তা সংশোধন করা হচ্ছে। এটি ফের মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। ভাষাগত ভেটিংয়ের জন্য সেখাান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
১৯৬১ সালের ইস্ট পাকিস্তান ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শক, বিদ্যালয় পরিদর্শক, উপপরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) এবং সরকার ও বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃতরা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা হবেন। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ড তহবিল থাকবে। যেকোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় সরকারি ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
Discussion about this post