অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অভিবাসন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, গত বছর ২ লাখ ৮০ হাজার কর্মী বিদেশ গিয়েছেন। এ বছর ইতোমধ্যে সাড়ে সাত লাখ অতিক্রম করেছে। আশা করছি, ১০ লাখের বেশিই যাবে। যারা গিয়েছেন তারা তো গিয়ে টাকা জমিয়ে দেশে পাঠাবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীরা যে কষ্ট করেন, সেটি কিন্তু এখানে বসে বুঝা যায় না। কিন্তু যখন তাদের লাশ আমরা গ্রহণ করতে যাই, তখন একটা উপলব্ধি হয় যে আমরা কী হারিয়েছি।’
ইমরান আহমদ বলেন, ‘মালয়েশিয়াসহ বন্ধ থাকা মার্কেটগুলো সবাই খুলতে বলছে। কিন্তু কীভাবে এটি করা হবে ও দেশের কী লাভ হবে, সেটা কিন্তু কেউ বলছে না। সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে আমরা মালয়েশিয়ারর পেছনে ঘুরছি। সাড়ে তিন বছর আগেই যদি মার্কেট খুলতো, তাহলে রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যেতো। সবাই মার্কেট খোলার কথা বলছে। আমরাও চাই, মার্কেট খুলতে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি থাকতে হবে, যাতে সবাই নিরাপদে থাকে। কী উপায়ে মার্কেট খুলবে, কী খুলবে না— সেটা কোনও ইস্যু না। ইস্যু হচ্ছে আমার জাতীয় স্বার্থ। আর জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আমাদের কর্মীর স্বার্থ।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘বিদেশে কর্মী পাঠাতে এখন আমরা দক্ষতার ওপর জোর দিচ্ছি।’
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন হলে অভিবাসন খাতে আরও স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। গত ২০ বছর এই সেক্টরটি যেভাবে ছিল, এখন আর সেটি নেই। আগামীতে যারাই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসবেন, এখনকার এই অবস্থা থেকে যেন আর পেছনে ফিরে যেতে না হয়, সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিকীকরনের দিকে নজর দিতে হবে।’
রামরুর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, ‘অভিবাসন খাতে আমরা কঠিন সময় পার করেছি। টিটিসিগুলোকে গ্লোবালি কম্পেয়ার করে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। ট্যুরিজম ও হসপিটালিটির ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে কেয়ার গিভারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এগুতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন— ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশ প্রধান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর’ প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ মন্ত্রণালয়ের নঅন্যান্য কর্মকর্তারা।
Discussion about this post