বিশেষ প্রতিবেদক
মাত্র এক অক্ষরে মা শব্দটি গঠিত হলেও এর ব্যাপকতা সাগরের চেয়েও বিশাল। এই শব্দের চেয়ে অতি আপন শব্দ আর নেই। জন্মের পর মানুষের মুখে এই শব্দই বেশি উচ্চারিত হয়। এই মা শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে মুঠোভরা স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম স্নেহ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই মা, মায়ের বৈশিষ্ট্য আর ভালোবাসা কখনো বদলায় না।
বিশ্ব মা দিবস আজ। জন্মদাত্রী মা, যার কল্যাণে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা হয় সন্তানের, সেই মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবসের পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবেন। তার সেই ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন।
১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন। মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে দিনটি সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে সন্তানেরা এই দিনে মায়েদের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা ব্যক্ত করেন।
সন্তানের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মায়ের আঁচল। যিনি নিঃস্বার্থে পরম স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে আমৃত্যু আগলে রাখেন, তিনিই মা।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর দিবসটি পালনে বাংলাদেশে বিশেষ কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। তবে এবার নানা আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে মা দিবস।
Discussion about this post