শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে । আজ রবিবার (৮ মে) থেকে শুরু হয়ে ১৮ মে পর্যন্ত চলবে এ ভর্তি কার্যক্রম।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে দেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা নির্দেশক্রমে অনুমোদন করা হলো।’
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৮ মে থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি শুরু হয়ে চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন। আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হবে ২১ জুন। আর শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৪ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত।
সরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
১. এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার এপ্লিকেশনের মূল কপি (কালার প্রিন্ট) লাগবে।
২. এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার এপ্লিকেশনের মূল প্রবেশপত্র (কালার প্রিন্ট) লাগবে।
৩. এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের মূল কপি (রেজাল্টের কালার প্রিন্ট কপি) লাগবে।
৪. এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাশের মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট লাগবে।
৫. এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাশের মূল সনদ পত্র লাগবে।
৬. এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাশের মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট লাগবে।
৭. এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাশের মূল সনদ পত্র/ প্রশংসা পত্র লাগবে।
৮. জেলা কোটার দাবির ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত নাগরিকত্বের মূল সনদ পত্র লাগবে।
৯. ছয় কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি লাগবে।
১০. পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদপত্র ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসকের সনদপত্র। অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদ পত্র লাগবে।
১১.
ক. মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপক্ষে ১৯৯৭-২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীনে তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ বা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের পর থেকে মন্ত্রী / প্রতিমন্ত্রী ও সচিব স্বাক্ষরিত সনদ পত্র লাগবে।
খ. মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৩.২৫.০১৯.২০.৮৭৫, তারিখ ১৮/১০/২০২২ খ্রি.- এ জারি কৃত বিধি-বিধান অনুসরণ করা হবে।
১২. ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পাসকৃত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত মূল নম্বর পত্র ও সনদ পত্র/প্রশংসা পত্র অবশ্যই নিরীক্ষান্তে জমা রাখতে হবে।
ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার পর পূরণ করে কাগজ পত্র জমা দেওয়ার পর কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুব সাধারণ একটা প্রক্রিয়া। তাই এটা নিয়ে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই।
Discussion about this post