জাকিয়া আহমেদ
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসক ডা. ফয়সাল জাহাঙ্গীর পলাশ সুস্থ হয়ে ১২ এপ্রিল বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরলেও এখন তিনি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। টেলিফোন তিনি জানালেন চিকিৎসাধীন থাকার সময়কার কথা। ডা. পলাশ বলেন, ‘আমি এখন সুস্থ। মানুষ সুস্থ হচ্ছে তো, আমিই তার প্রমাণ। একজন চিকিৎসক হিসেবে আবার আমি কাজে ফিরবো। আমরা রোগী না দেখলে তারা যাবেন কোথায়?’
তিনি বলেন, ২০ মার্চ তার জ্বর হয়। পরের দিন তিনি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-কে জানালে সেদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় তারা তাকে কনফার্ম করেন তিনি করোনা পজেটিভ।
ডা. পলাশ বলেন, ‘প্রথম দিন কেবল জ্বর ছিল। আমি বাসাতেই আইসোলেশনে চলে যাই। ২২ মার্চ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ভয় পাই। এরপর আইইডিসিআরকে ফোনে জানালে তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে। তারাই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সময় এত শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল যে অক্সিজেন দিতে বলি। হাসপাতালে যাওয়ার পর রাতে কয়েকবার নেবুলাইজ করতে হয়, সারা রাত অক্সিজেন দেওয়া ছিল। পরে ডায়রিয়া ছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্ট ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কাশি আর সর্দি ছিল কয়েকদিন।’
করোনা পজেটিভ জানার পর কী মনে হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। যেহেতু নিজে চিকিৎসক এবং টোলারবাগের রোগীকে আমিই ডিল করেছি, তাই কিছুটা বুঝতে পেরেছিলাম। করোনা পজেটিভ শোনার পরে ইজিলি নিয়েছিলাম, ভয় পাইনি। তবে যেদিন শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সেদিন ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল হয়তো মারা যেতে পারি। ৮ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই টেস্টে নেগেটিভ আসে। এরপর ভালো লেগেছে, নিজেকে রিলিফ মনে হয়েছিল।’
Discussion about this post