অনলাইন ডেস্ক
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে নিরহংকারী, প্রচারবিমুখ, অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৯ মে) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জোহরের নামাজের পর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নেন।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমি আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ সহকারী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছি, সেজন্য তাকে নিয়ে আমারও কিছু স্মৃতি আছে। তিনি একজন নিভৃতচারী, নিরহংকারী, মিতভাষী মানুষ ছিলেন, সবাইকে আপন করে নিতেন। তিনি যে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর স্বামী, সেটি অনেকেই জানতো না। নিজ গুণে, নিজ নামেই পরিচিত এই মানুষটি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একজন গবেষক ছিলেন। তার গবেষণালব্ধ বই ভারতে পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’
ড. হাছান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর দুঃসহ বেদনাক্লিষ্ট বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা এবং ছোট মেয়ে শেখ রেহানাকে সাহস দিয়ে আগলে রাখার মহান ও দুরূহ কাজটি ড. ওয়াজেদ মিয়া করেছেন।’
স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সালটি সম্ভবত ২০০৫, সুধা সদনের আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেছিলেন—তার মনটা একটু ভালো। কারণ, বাড়ির ঋণটা শোধ হয়েছে। আমি বললাম, দুলাভাই কোন বাড়ির ঋণ? তিনি সুধা সদন দেখিয়ে বললেন, ‘এই বাড়ির ঋণ।’ আপনারা জানেন, তার ডাকনাম সুধা মিয়া, সেই নামেই সুধা সদন হয়েছে। এই মানুষটি আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকে বললেই ঋণ আরও আগেই পরিশোধ হয়ে যেতো। কিন্তু তিনি কাউকে বলেননি। নিজেই কিস্তিতে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করেছেন।’’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি আমলে নানা মানসিক নির্যাতন এবং পরে জরুরি অবস্থার সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার ফলে তার ওপর যে মানসিক নির্যাতন হয়েছে, তারপর ড. ওয়াজেদ মিয়া যে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেননি। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি—যেন মহান স্রষ্টা তাকে বেহেশত নসিব করেন।’
Discussion about this post