নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় এক টাকাও খরচ করেনি গবেষণার জন্য। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো আটটি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১৬টি। ২০২০ সালের তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড-বিষয়ক ছয়টি সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রতিবেদনটি বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম তুলে ধরা হয়নি। সমীক্ষায় সাধারণ, প্রকৌশল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে দেশে ১৫১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৪৬টি ও বেসরকারি ১০৫টি। নির্ধারিত নির্দেশিকার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সংগ্রহ করা তথ্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণায় এ ধরনের অবহেলায় উদ্বিগ্ন ইউজিসি। কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, গুণমানসম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রমের জন্য ইউজিসির নির্দেশনা রয়েছে। তার পরও গবেষণায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তথ্যের ঘাটতি ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বেশি খারাপ।
তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো গবেষণায় ভালো করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণামুখী করতে ইউজিসির তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আগামীতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিবিএস বলছে,অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ। সর্বাধিক গুরুত্ব থাকার পরও গবেষণায় খরচের পরিমাণ নির্ণয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। এসংক্রান্ত প্রকৃত কোনো পরিসংখ্যানও নেই।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে গবেষণা খাতে ১৩৭ কোটি টাকা খরচ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ ৩৬ কোটি টাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খরচ করেছে ১০১ কোটি টাকা।
গবেষণার অংশ নয় এমন কিছু খরচও এতে দেখিয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে স্থায়ী সম্পদ হিসেবে জমি কেনা, ভবন নির্মাণকেও তারা অন্তর্ভুক্ত করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন মূলধন ব্যয় বেশি থাকে। এ কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা উন্নয়ন খরচ বেশি।
Discussion about this post