অনলাইন ডেস্ক
‘জনগণের অংশীদারিত্বেই শান্তি ও সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে আজ রবিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২২। দিবসটি উদযাপনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সকালে অনুষ্ঠিত হবে শান্তিরক্ষী দৌড় ২০২২। এরপর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় ও আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর রয়েছে বিশেষ উপস্থাপনা। এতে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এখন শান্তিরক্ষার ৯টি মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ৩২৪ জন নিয়োজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৪৩টি দেশের ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশনে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৮ শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে জাতিসংঘের ইতিহাসে বিশ্বশান্তি রক্ষায় রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর নারীর সদস্যরাও কার্যকর ভূমিকা রেখে প্রশংসা অর্জন করেছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ২ হাজার ৩২২ জন নারী শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ মিশনের আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১৩৯ জন সদস্য এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ২২ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। আহত হয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর ২৪০ জন ও পুলিশের ১২ জন সদস্য।
৩৪ বছর ধরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতিসংঘের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা।
করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বও ছিল বেশি।
শান্তিরক্ষী দিবসের কর্মসূচি
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে শান্তিরক্ষীদের স্মরণ করে। ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২’ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
পরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় ও আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনা থাকবে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলেও প্রচার হবে বিশেষ টক-শো।
এছাড়া, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার হবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
Discussion about this post