অনলাইন ডেস্ক
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনাস্থলে সোমবার মধ্যরাতেও (রাত ১টায়) কনটেইনারের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ফলে দুর্ঘটনার এখনো ৫২ ঘণ্টায়ও ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সোমবার রাতে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছু কনটেইনারের ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। ফলে সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে থাকা অন্তত ১৫টি কনটেইনারের ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে।কনটেইনারের দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কনটেইনারের তালা কেটে দরজা খোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিস্ফোরণের আতঙ্ক থাকায় স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চালাতে পারছেন না তারা।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, রাত পৌনে ১টার দিকে আগুন জ্বলতে থাকা একটি কনটেইনারের দরজার তালা কাটার চেষ্টা করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দরজা বাঁকা হয়ে যাওয়ায় সেটি খোলা যাচ্ছিল না। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর দরজা খুলে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন জ্বলতে থাকা অন্য কনটেইনারগুলোর তালা ভেঙে দরজা খোলার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিস্ফোরণ কিংবা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজ চালানো যাচ্ছে না।
পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, এখনও ছয়-সাতটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। ধারণা করছি কনটেইনারগুলোতে রয়েছে রফতানি পোশাক। রাসায়নিকের কনটেইনারগুলো আগুন লাগার স্থান থেকে সরানো হয়েছে। তবে রাতের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা খুব কম। তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এখন আগুনের তীব্রতা কম।
গত শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক পর রাসায়নিকভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নিহত হন ৪১ জন। আহত হন আড়াই শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।
Discussion about this post