নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে দেশের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য মঞ্জুরি হিসেবে এককালীন ২০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ এ অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য মঞ্জুরি হিসেবে এককালীন ৮ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। আর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বাবদ এককালীন ২০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে। শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সিড মানি হিসাবে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও ট্রাস্ট পরিচালনা বিধি প্রণয়নসহ জনবল কাঠামো চূড়ান্তকরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবে বলেন, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার হার বৃদ্ধি, জেন্ডার সমতা আনয়ন, সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ছাত্র ও শিক্ষকদের বৃত্তি-উপবৃত্তিসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। মেধার বিকাশে নানা কার্যক্রম গ্রহণ, সহায়ক নীতিমালা ও পরিবেশ তৈরি, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ই বুকের প্রচলন, উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপন, ইত্যাদি বহুমাত্রিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ১৫ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১২ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। ই-বুকের প্রচলন, উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ৩১৫টি উপজেলায় ১টি করে বেসরকারি বিদ্যালয়কে মডেল স্কুলে রূপান্তর করা হয়েছে। শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সিড মানি হিসাবে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও ট্রাস্ট পরিচালনা বিধি প্রণয়নসহ জনবল কাঠামো চূড়ান্ত করতে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
Discussion about this post