অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস কর্মী গাউসুল আজমের (২২) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের আরেক কর্মী রবিন মিয়া (২২) ও কনটেইনার চালক নজরুল মন্ডল (৩৮) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন।
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও ইনস্টিটিউটে ভর্তি সব রোগীকে আমি দেখেছি। অধিকাংশই রোগী আমাকে দেখে বলেন—কবে বাড়ি যাবো? আমি তাদের বলেছি, অপেক্ষা করেন আর একটু সুস্থ হলেই শিগগিরই বাড়ি যাবেন।
ডা. সামন্ত লাল আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ২০ জন রোগী এখানে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে গাউসুল আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের আরেক কর্মী রবিন মিয়া (২২) ও কনটেইনার চালক নজরুল মন্ডল (৩৮) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন। বাকিরা পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে আছেন। গাউসুল আজমের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থাও একেবারে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সকালে সব চিকিৎসকরা মিলে রোগীদের ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়েছি এবং ১১টার দিকে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা একটি মিটিং করেছি। সেখানে প্রত্যেকটা রোগীর পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাদের চোখের সমস্যাগুলো আমরা দেখছি। আগামীকাল অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদসহ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক রোগীদের আবার এসে দেখবেন। এরপর সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবো তাদের চিকিৎসায় পরবর্তীতে আর কী করা যায়।
ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, রোগীদের রক্ত লাগবে এটা জানার পর অনেকেই সেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন। এখন আমাদের এখানে প্রচুর পরিমাণ রক্ত মজুত আছে। নতুন করে রক্ত রাখার জায়গাও নেই। আপাতত আমাদের আর রক্ত লাগছে না।
দগ্ধ গাউসুল আজমের স্বজনরা জানান, তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। বাবার নাম আজগর গাজী। চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি।
Discussion about this post