নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি চালুর অনুমোদন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। মেধাবীদের চিহ্নিত করে এসব কোর্সের অনুমোদন দেওয়া হলে নানা বিষয়ে বহুমাত্রিক গবেষণার ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত হবে।
সোমবার (১৩ জুন) শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা কর্মসূচির চেক প্রদান বিষয়ক কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) ভবনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতি এবং উন্নত জাতি গঠনে গবেষণার বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া উচিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এখন আমাদের আরও উদ্ভাবনী হতে হবে। এজন্য গবেষণার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কম। এগুলোতে আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। বর্তমানে কৃষিতে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এর ফল হিসেবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি। শিক্ষাক্ষেত্রেও আমাদের গবেষণা বাড়াতে হবে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা অনেক কম। আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো করছে। যাদের সক্ষমতা আছে তাদের গবেষণার জন্য আহ্বান জানানো উচিত। সে কারণে বেসরকারি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
ব্যানবেইস মহাপরিচালক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক।
উচ্চতর গবেষণা খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিবছর গবেষকদের আর্থিক সহায়তা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭ শিক্ষককে বিভিন্ন পরিমাণে অর্থ প্রদান করা হয়।
Discussion about this post