শিক্ষার আলো ডেস্ক
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় জনতার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত। নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেওয়ার কিছু নেই। আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।
শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১টার পর তিনি জনসভায় সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন। এতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পদ্মা সেতু করার মধ্য দিয়ে বাধাদানকীদের একটা উচিত জবাব দিয়েছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বাধা দিয়েছে, তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তাদের একটা সমুচিত জবাব দিতে পেরেছি। জাতির পিতা বলেছেন, ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ আসলেই পারেনি। পারবেও না।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু করতে গিয়ে যারা জমি দিয়েছিলেন, তাদের ঘর করে দিয়েছি, জমি দিয়েছি। তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একটা কথা মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা।
‘এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাকে অনেকে অপমান করেছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, পদ্মা সেতু নির্মাণ করবই। সেই সাহস দিয়েছেন আপনারা, শক্তি দিয়েছেন আপনারা। আমি আপনাদের পাশে আছি। এখন তো পদ্মা সেতু হয়ে গেল। আমরা আসব, আপনারাও যাবেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হবে না। তাকে বলব, আসুন, দেখুন পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কি না?
শেখ হাসিনা বলেন, আজ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ দিন। কিছুক্ষণ আগে এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে এসে এই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যাই। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলছেন, কখনোই সেতু করতে পারবে না। আমরা কিন্তু করতে পেরেছি, আপনারা পাশে ছিলেন বলে। জনগণের শক্তি বড় শক্তি। আমি সেটাই বিশ্বাস করেছি। তিনি বলেন, বাবা-মা ভাইবোন হারিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারাও আমার পাশে ছিলেন।
দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজা সংলগ্ন উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মোনাজাতে অংশ নেন। তারও আগে বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ০৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়। বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজহাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।
Discussion about this post