নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষার উন্নয়নে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ডলার অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে যা ৫০০ কোটি ৪৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) ট্রাস্ট ফান্ড থেকে এ অনুদান দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ৩০ মে বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত অনুদানের অনুমোদন দেয়। এরপরই ২১ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিইডিপি)-৪ কর্মসূচির আরডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ২৫ হাজার ৫৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বাকি ১২ হাজার ৮০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আসবে বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, ইইউ, ডিএফআইডি, অস্ট্রেলিয়ান এইড, কানাডিয়ান সিডা, সুইডিশ সিডা, ইউনিসেফ ও ইউএসএইড প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। এরই ধারাবাহিকতায় অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষার মানোন্নয়নের মতো বিষয়গুলো পিইডিপি-৪-এ জায়গা পেয়েছে। পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জন শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়ন হবে।
পিইডিপি-৪ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার ন্যায়সংগত অভিগমন বাড়ানো। এছাড়া, প্রকল্পের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক শিক্ষায় শক্তিশালী সুশাসন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থানের কথাও বলা হয়েছে।
Discussion about this post