অনলাইন ডেস্ক
৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৮০ মিটারের কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা হবে পদ্মা সেতুর আদলে। গতকাল বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘কিন্তু দীর্ঘ এগারো বছর সময় গেছে। আমার আগে যিনি এমপি ছিলেন তিনিও চেষ্টা করেছিলেন, হয়নি। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে এটি একনেকে গিয়েও ফেরত এসেছে। তখন কিন্তু খরচও অনেক কম ছিল। শেষ পর্যন্ত আমি দায়িত্বে আসার পর এটি নিয়ে আবার কাজ শুরু করলাম। পরে নকশার জন্য টেন্ডার হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকের মিটিংয়ে বললেন, এটি আবার রিভাইস করে আনার জন্য। একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। লেখা হয়েছিল দুইটা সেতু করার কথা, একটা রেলসেতু আরেকটা সকড় সেতু। পরবর্তী সময়ে ওই নকশা করে যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যায় তখন তিনি বলেন, আমি তো এরকম বলিনি। একটিই সেতু হবে। সেটিতে গাড়ি ও ট্রেনসেতু থাকবে। এছাড়া দুইপাশে দুই মিটার করে চার মিটার হাঁটার রাস্তা থাকবে’।
তিনি বলেন, করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও প্রতিনিয়ত মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় রিসোর্ট ডিভিশন, যারা অর্থায়নের জন্য বিদেশের সাথে কথা বলেছিল তাদের সাথে সচিব, মন্ত্রীসহ বারবার কথা বলার পর পুনরায় টেন্ডার হয়েছে। ওই টেন্ডারে আগে যারা স্ট্যাডি করেছিল তারাই আবার কাজটি পেয়েছে। ফলে খুব কম সময়ে ডিজাইনটা সাবমিট করেছে। তবে এর আগে রেলসহ অন্যান্যদের সাথে আলাপ করে আরও সুন্দরভাবে তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার জন্য তারা কিছু সময় নিয়েছে। আগামী আগস্টে তারা সেটি জমা দিবেন। এজন্য আজ রেলের সাথে একটি চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টেন্ডার শেষ করতে ৭-৮ মাস লাগবে। আগামী আগস্ট মাসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ বছরেই সমস্ত টেন্ডার জটিলতা শেষ হবে। চেষ্টা করছি এবছর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার। পদ্মা সেতুর আদলে এ সেতু নির্মিত হবে। ওপরে গাড়ি চলবে, নিচে ট্রেন। মোট তিনটি লাইন থাকবে। এ সেতুর সমস্ত ব্যয় বহন করবে কোরিয়ান সরকার।
তিনি জানান, এখন যে সেতু রয়েছে সেখান থেকে হালদার উজানের দিকে ৭০ মিটার দূরে নতুন সেতুটি নির্মিত হবে। এছাড়াও একটি সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে, সেটি করবে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে। কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংকের নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান ইওসিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে।
Discussion about this post