শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস টিকিয়ে রাখার জন্য পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসের পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের ইতিহাসও অন্তর্ভুক্ত করা ও বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বস্তরে স্বাধীনতা বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা নগণ্য। মানুষ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে বলেই মুক্তিযোদ্ধারা আজ অবমূল্যায়িত হচ্ছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাসও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ১২ ধরনের বারকোড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ছাপানো শেষ হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার করা একটি যৌক্তিক দাবি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরিতে না আসতে পারলে চাকরিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য বেড়ে যাবে। জাতির লাভের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকাও করতে হবে পূর্ণাঙ্গভাবে। সংসদ ভবন এলাকা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর সরাতে হবে। এটি জাতির জন্য কলঙ্কের।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে। অনেক বলার পর ৫০ নম্বর করা হয়েছে। আমরা এখনও অনেক ব্রিটিশ আইনেই চলি। কিছু কিছু বিষয়ে এখনও নতুন আইন হয়নি স্বাধীনতার পরে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানে না। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সন্তানদের ইতিহাস না শেখালে অচিরেই দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ১৮টি সংগঠন। তাদের মধ্যে ঐক্য নেই ফলে কোটার দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
Discussion about this post