অনলাইন ডেস্ক
মেট্রোরেল নির্মাণে প্রায় ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ব্যয় ও দেড় বছর সময় বাড়ানোসহ প্রায় ১৫ হাজার ৮৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় বাড়লো ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং নির্মাণ কাজ শেষ করার মেয়াদ বাড়ানো হলো দেড় বছর। একই সঙ্গে এর দৈর্ঘ্য বাড়বে ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। মেট্রোরেলের নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এখন পর্যন্ত এর মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ মেট্রোরেলের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।
মেট্রোরেলের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধিসহ মঙ্গলবার মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সবগুলো প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৫ হাজার ৮৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১২ হাজার ৪৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৬) এর হাটহাজারী হতে রাউজান পর্যন্ত সড়কাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৬) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক (আর-২১১) ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার নরসিংদী-রায়পুরা (আর-১১৪) দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য ধনুয়া হতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি (ইপিসিবিসিএসপি) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন হতে সংরক্ষণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন (UGDP) (২য় সংশোধিত) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post