নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে দক্ষতানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যার পর যুক্তি, গবেষণা ও মুক্ত বুদ্ধির চর্চা এগুলোর প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও দেশি-বিদেশি দোসরদের ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারানোর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ক্ষেত্রেও আমরা বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিলাম।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষা অর্জনের জন্য কোনো শটকার্ট পদ্ধতি নেই। কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই শিক্ষা অর্জন করতে হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইইউবিএটি তার ‘জ্ঞানভিত্তিক এলাকা উন্নয়ন: কমিউনিটি পর্যায়ে স্বনির্ভরতা’র পদক্ষেপের আওতায় প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন পেশামুখী গ্রাজুয়েট তৈরি করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থের কারণে ভর্তি নিরুৎসাহিত করা হয় না এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ৫৩০টি উপজেলা থেকে শিক্ষার্থী বা গ্রাজুয়েট আছেন। এটি বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতিতে নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ।
শিক্ষায় বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাজেটের অন্তত ৪ শতাংশ শিক্ষা খাতের জন্য। আন্তর্জাতিকভাবে সেটি ৬ শতাংশ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা ৩ শতাংশ অতিক্রম করতে পারিনি। আমাদের দক্ষতাসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
নতুন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চাকরি প্রত্যাশী ও চাকরি দাতাদের চাহিদার মধ্যে বিস্তর ফারাক। অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করার পরও সফট স্কিল না থাকায় ভালো করতে পারছে না। তাই কর্মযজ্ঞে কী প্রয়োজন তা এখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মাথায় রেখে গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে।
সমাবর্তনে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়ার ককেশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টসের বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কখা শেঞ্জেলিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইএসি যুক্তরাজ্যের রেজিডেন্ট জাজ ও ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসুল জুলিয়ান ফিলিপস।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জুবের আলিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম।
Discussion about this post