শিক্ষার আলো ডেস্ক
ছয়দফা দাবি নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। এবার তার সাথে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ঢাবির শতাধিক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলাপুর স্টেশনে রনির সাথে যোগ দিয়ে আন্দোলনকারীরা স্লোগান তোলেন- ‘দুর্নীতির কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দুর্নীতির ঠাঁই নেই’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’ ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তুমি কে আমাকে বাঙালি-বাঙালি’।
রনির ৬ দফা
১. টিকিট ব্যবস্থাপনায় সহজ ডটকমের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।
৩. অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।
৫. ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বাড়াতে হবে।
৬. ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
মহিউদ্দিন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই এসে আমার সঙ্গে দেখা করছে। আন্দোলনে শরিক হচ্ছেন। এতে আমার মনে সাহস বাড়ছে, যে আমি একা নই। আমার সঙ্গে দেশবাসী আছেন। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
Discussion about this post