নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ২০১৫ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় অবসর ভাতা প্রদানের পরিমাণও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০০১-২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে ৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা অবসর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সংকট নিরসনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টকে যথাক্রমে ৮২২ কোটি ও ৩৬০ কোটি টাকা এককালীন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে জাপা সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এটা নিষ্পত্তি করতে তিন হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। এসব আবেদন পর্যায়ক্রমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পেনশনের অর্থ জরুরিভিত্তিতে প্রদানের জন্য সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্রুততার সঙ্গে ও নিয়মিতভাবে পেনশন, গ্রাচ্যুইটি বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। নতুন জাতীয়করণকৃত সকল শিক্ষক নির্ধারিত সময়ে (জাতীয়করণের তিন বছরের মধ্যে) প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করেননি তাদের দ্রুত পেনশন পেতে বিধিমালা সংশোধন করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বগুড়া-৫ আসনের সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে বর্তমানে ৮টি শান্তিরক্ষা মিশনে মোট ৬ হাজার ৮৩৬ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন, এরমধ্যে ৫২১ জন নারী। মিশনে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় এ পর্যন্ত মোট ১৬১ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৫৮ জন আহত হয়েছেন।
Discussion about this post