নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা, দূরত্ব, সিফট এসব কিছু বিবেচনায় কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
সচিব বলেন, এখন আমরা আবার ভাবছি- স্কুল মার্জ। নিকটবর্তী স্কুলে যদি মার্জ করি তাহলে ছাত্রদের শিখন ঘণ্টাও বেশি হবে। যেখানে দুই সিফট সেখানে শিখন ঘণ্টা কম।
‘আমরা মোট পরিসংখ্যানের ওপরে কাজ করছি যে ছাত্র সংখ্যা ও শিক্ষক সংখ্যা এবং সংযুক্ত (অ্যাটাচ) থাকা শিক্ষক সংখ্যা। নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে শূন্য পদ চিহ্নিত করতে হবে। কোন স্কুলে ছাত্রের বিপরীতে কতজন শিক্ষক আছেন। কারণ আমরা অনুমানভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারি না। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। ’
সিনিয়র সচিব জানান, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি চালু করব। এটা চালু না হলে আমরা সঠিক সংখ্যায়ও যেতে পারব না। এই সংখ্যা কত তা এখনই জানা যাচ্ছে না।
কোন পদ্ধতিতে মার্জ (একীভূত) হবে- জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ভৌগোলিক দূরত্বসহ সব বিবেচনা করা হবে।
গাইবান্ধায় চরে অনলাইনে একটি স্কুলে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে। আবার পার্বত্য অঞ্চলে দূরত্ব কম হতে পারে কিন্তু হাঁটার দূরত্ব অনেক বেশি। সেজন্য আমরা ভৌগোলিক দূরত্ব, হাওর, চর, বিল, ছাত্র সংখ্যা (যেখানে ছাত্র সংখ্যা বেশি সেখানে আরেক বিষয়) সমস্ত কিছু বিবেচনা করে আগামী ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে হয়তো প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
Discussion about this post