অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগ উন্নয়নে বেশ কয়েকটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে এ বিষয়ে যৌথ সম্মতি দিয়েছে উভয় পক্ষ।
১. কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নিউ গীতালদহ রেল সংযোগ।
২. হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন।
৩. বেনাপোল-যশোর রেল পথ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন।
৪. বুড়িমারী ও চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে রেল সংযোগ পুনঃস্থাপন।
৫. সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ ইত্যাদি।
এসব প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে একাধিক আর্থিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকল্পসমূহের অর্থায়ন নিশ্চিতকরণে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।
এছাড়া বাংলাদেশের অনুরোধে অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে ২০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
এদিকে রেল খাত নিয়ে চলমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে-
১.টঙ্গী-আখাউড়া লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর।
২. বাংলাদেশ রেলওয়েতে রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ।
৩. ভারতীয় রেলওয়ের স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ।
৪.বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার উন্নতি নিশ্চিতে আইটি-সংক্রান্ত সহযোগিতা প্রদান।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ৭টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
Discussion about this post