নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনিস্টিউটে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনলাইন প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমানের সনাতনী মুখস্থ নির্ভর শিক্ষার পরিবর্তে দক্ষতা নির্ভর শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে জীবন ও জীবিকার পরিবর্তন হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও এসেছে। সেজন্য সেই আলোকে জীবনমুখী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করার কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
মন্ত্রী বলেন, জীবনকে নানন্দিক ও বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষা পদ্ধতি চালুর প্রক্রিয়ায় আছি। এই শিক্ষক্রমের হৃদয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ সময় নিয়ে এই শিক্ষাক্রম রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানের ৬০ ভাগের বেশি পেশার পরিবর্তন হবে। বিশ্বায়নের যুগে তাল মেলাতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা খুব বেশি জরুরি। সনদপ্রাপ্তির চেয়ে শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা, জীবন ও জীবিকা নির্ভর শিক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে নৈতিক ও সুনাগরিক করে তুলতে হবে তাদের।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পরিবারকে একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্যের প্রতিযোগিতা করার মানসিকতা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। জিপিএ ৫ পেতে হবে কিংবা টপার হবে এই মানসিকতার বদলে শিক্ষার্থীদের নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
শিক্ষাক্রম এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাইলটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এখনও কনটেন্ট পরিবর্তন হবে। শিক্ষায় সংস্কার করতে যাচ্ছি অতি দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কোথাও ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করবো। আমরা ধীরে ধীরে এটা নিখুঁত করার চেষ্টা করবো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ বলেন, সেরা শিক্ষার্থী নিয়ে সেরা বিদ্যালয় খেতাব নিলে হবে না। বাড়ির পাশের বিদ্যালয়টিই সেরা বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সেরা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত বিদ্যালয়গুলো যেন সেরা শিক্ষার্থী ভর্তি করে সেরা প্রতিষ্ঠান না হতে পারে সেজন্য লটারি পদ্ধতি চালু করেছি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষককেও শিক্ষার্থী হতে হবে। যেন নতুন নতুন বিষয়ে শিখতে ও শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারেন।
Discussion about this post