নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধে ৮ দফা দাবিতে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ এবার দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর ও অভিযোগ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তিনি অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ হাসনাত আব্দুল্লাহর। এর আগে উপাচার্য তার কথা রাখেননি বলেও অভিযোগ করেছিলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক প্রফাইলে লিখেছেন, ‘ভিসি স্যারের অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ও আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন ঘোষণা করছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘স্যার (উপাচার্য) বিবিসিতে বলছেন, রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তাদের খারাপ আচরণের দায়ভার ব্যক্তির নিজের, প্রতিষ্ঠানের নয়। ভিসি স্যারের অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ও আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমি অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। তার কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এর আগে ৩০ আগস্ট আট দফা দাবি পুরণে প্রশসানকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন হাসনাত।
আট দাবি হলো-
১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।
২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।
৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।
৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।
৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।
৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যাবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত না থাকা।
৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।
এসব দাবির পক্ষে হাসনাত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছেন। যাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দিয়েছেন।
Discussion about this post