শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) দুই শিক্ষক। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন ড. গোলাম রাসুল, সিভিল ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র পাল।
চলতি বছরের বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ের’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’ প্রণীত ২০২১-২২ সালের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষক তালিকায় স্থান পেয়েছেন এই দুই শিক্ষক।
ড. গোলাম রাসুল দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
অন্যদিকে ড. সুভাষ চন্দ্র পাল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে ৮০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্নাতকোত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আইইউবিএটিতে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বর্তমানে এলসেভিয়ার জার্নাল অব এডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং লেটারস এবং হিন্দাউই জার্নাল অব অ্যাডভান্সেস ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য এবং ৪টিরও বেশি জার্নালের পর্যালোচক।
তিনি বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, কংক্রিটের ক্ষয় এবং স্থায়িত্ব, ন্যানো পার্টিকেলস এবং থ্রিডি কংক্রিট প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা করে থাকেন। তিনি আইইউবিএটি’র প্রতিষ্ঠাতা ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আওতায় ২০২০ এবং ২০২১ সালে শ্রেষ্ঠ গবেষক হিসেবে সম্মাননা পেয়েছিলেন।
আইইউবিএটির এই দুই শিক্ষকের সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে গত ১৯ অক্টোবর (বুধবার ) মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আইইউবিএটি সভাকক্ষে বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক লুৎফর রহমান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননাপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব বলেন, ‘গবেষণা দীর্ঘ পরিশ্রমের কাজ, ধৈর্যের কাজ। তবে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে লেগে থাকলে এ কাজে সফল হওয়া সম্ভব। গবেষণার শুরুতেই যেন কেউ হাল না ছেড়ে দেয়। বরং নিজের ভুল থেকে শিখে বার বার চেষ্টা করতে হবে। আইইউবিএটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে আরও উচ্চমানের গবেষক তৈরি করতে চায়।’
উল্লেখ্য, মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য আইইউবিএটি’র শিক্ষক ও গবেষকদের গবেষণা মঞ্জুর, দিকনির্দেশনা ও মূল্যায়ন পরিচালনা করে। বর্তমানে মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মঞ্জুরি ও দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসায় প্রশাসন, পরিবেশ, জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতি বছরই এসব গবেষণার ফলাফল নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং গবেষকদের সম্মানা দেওয়া হয়।
Discussion about this post