অনলাইন ডেস্ক
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের নীতিমালা হচ্ছে, যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে দ্রুত ফল আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে সেটিই নেওয়া হবে। একটা বিরাট অঙ্কের টাকা পেলাম আর একটা পরিকল্পনা নিয়ে নিলাম, সেটা আমরা নেব না।
বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে ১২৪তম, ১২৫তম এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স-এর সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলাম। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করে আমরা কাজগুলো শুরু করি। যার মাধ্যমে আমরা এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) বাস্তবায়ন করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকেই আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। কাজেই আমি মনে করি, আমাদের প্রশাসনে যারাই থাকবে তাদেরকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে জুডিশিয়াল সার্ভিসে কখনো নারীরা আবেদন করতে পারত না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই আইন পরিবর্তন করেন। মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেন, সংসদে রিজার্ভ আসনের ব্যবস্থা করে দেন, যাতে নারী নেতৃত্ব আসতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা তৃণমূলের স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমাজের নারী-পুরুষ যদি শিক্ষা, দীক্ষা, কাজকর্ম না করে তাহলে সে দেশ উন্নত হতে পারে না। নারী ক্ষমতায়নে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহীসহ সব ক্ষেত্রে নারীর কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিটি দেশে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে জ্বালানির দাম বাড়ায় অস্থিরতা বেড়েছে। সেজন্য এই মুহূর্তে করণীয় কী তা আমাদের ঠিক করতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন বিদায়ী সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম।
Discussion about this post