শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী যেন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠে । এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। সেজন্য তাদের কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা দিতে হবে।
“কারণ আমাদের রাষ্ট্র পরিচলনা করতে হলে দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থাও দরকার। কাজেই প্রত্যেকই বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা যে যেভাবে পারদর্শী সেভাবে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনীতিও যেভাবে দরকার। আবার সেভাবে প্রশাসন, কারিগরি সব ধরণের দরকার। ছাত্রলীগ যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের মেধা বিকাশের একটা সুযোগ পায় এবং সেই কাজ করতে পারে। এটাই আমি চাই।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল দেশ হওয়ার সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছিলাম বলে ঘর ভরে গেছে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, জবাবটা বেশি কিছু না। ওরা যখন আমাদের বিরুদ্ধে যেটা লেখে তার জবাবে ওদের অপকর্মটা যদি কমেন্টে ছেড়ে দেওয়া যায়, তাহলেই ওরা ওটা বন্ধ করে দেবে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো। ওরা যা বলবে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কী করেছে, তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের খুন, কাকে কাকে মেরেছে, তাদের ভোট চুরি, ডাকাতি- এগুলো তুলে দিলেই যথেষ্ট। আমার মনে হয় ছাত্রলীগ এই কাজটা করতে পারবে।
জাতির পিতা সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই সেই সোনার মানুষ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যে কথা বলে মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। একটা শ্রেণি আছে তারা এটা করবেই আমি জানি। কারণ মিথ্যে কথায় তারা পারদর্শী। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আর সেটাকেই আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায় তারা। কাজেই এদিকে সবার বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, তার সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে। জাতির পিতার এই বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। তাদের বৃত্তান্ত দিলে সরকার তাদের পুণর্বাসন করবে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
Discussion about this post