অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি মাসে মূল চীনা ভূখণ্ডের বাইরে সবচেয়ে গুরুতরভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এরপর থেকে দেশটি উঠেপড়ে লাগে এই ভাইরাস দমনে এবং সর্বশক্তি দিয়ে সফলভাবে লড়াই চালায় এর বিরুদ্ধে। একটা সময়ে গিয়ে করোনার বিরুদ্ধে জয় লাভও করে। কিন্তু হঠাৎ করেই কয়েক জনের শরীরে দ্বিতীয়বার করোনার সংক্রমণ ধরা পরে দেশটিতে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার চিকিৎসাবিষয়ক গবেষকরা বলছেন, কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া কয়েকজনের শরীরে ফের করোনা পাওয়া যায়। এটা হয়েছিল টেস্টিংয়ের ভুলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধবিষয়ক কেন্দ্র সিডিসির গবেষকরা বলেছেন, করোনাভাইরাসের পক্ষে মানবদেহে দ্বিতীয়বার হানা দেওয়া অসম্ভব।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিডিসির গবেষকরা দেখেছেন, সন্দেহজনক পুনরায় সংক্রমিত করোনা রোগীদের টেস্টের ফলাফলগুলো ভুল ছিল। নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ও জীবন্ত ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারেনি ওই টেস্টগুলো। তাই এমনটা হয়েছে।
সিডিসি জানিয়েছে, এইচআইভি ও চিকেনপক্সের মতো অন্যান্য ভাইরাসগুলো মানব কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করতে পারে এবং পুনরায় সক্রিয় হওয়ার আগে বছরে পর বছর ধরে সুপ্ত থাকতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাস হোস্ট সেলের নিউক্লিয়াসের বাইরে থাকে। এর মানে এই ভাইরাসটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ বা পুনরাবৃত্তি ঘটায় না। দক্ষিণ কোরিয়ার সিডিসি কমিটির প্রধান ড. ওহ মায়ং ডন এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একবার আক্রান্ত হলে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আবার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভাইরাস একবার যাদের আক্রমণ করে, তাদের কিছুটা সংক্রমণরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। এতে আবার তাদের সংক্রমণ ঘটনার ঘটনা বিরল।
যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন ও সাসেক্স মেডিক্যাল স্কুলের সংক্রামক রোগের ইমেরিটাস অধ্যাপক জন কোহেন বলেন, অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, একবার কেউ সংক্রমিত হলে তারা সাধারণত প্রতিরোধী হয়ে ওঠে এবং পরে আর তাদের সংক্রমণ ঘটে না। তবে সব সময় এর ব্যতিক্রম থাকবে। এটি অবশ্যই যুক্তিসংগত প্রত্যাশা।
সূত্র: স্কাই নিউজ।
Discussion about this post