শিক্ষার আলো ডেস্ক
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের একাডেমিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না বলে সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ রচিত ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সাস পারসন’ শীর্ষক গ্রন্থে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির’ দায়ে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এবং প্রকাশক ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডকে (ইউপিএল) গ্রন্থটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সিন্ডিকেট।
একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
রোববার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিন্ডিকেটের সভায় সভাপ্রধান ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভায় বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগের বিষয় উদ্ঘাটনের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সভা মনে করে, গ্রন্থে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে পরিবেশিত কতিপয় তথ্য অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও ইতিহাসের বিকৃতি। সভায় উলিখিত গ্রন্থে অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
এর আগে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক একটি অনলাইন পোর্টালে এক কলামে অধ্যাপক ইমতিয়াজের লেখা বইটিতে ‘ইতিহাস বিকৃতির’ অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের দাবি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফকরুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে অধ্যাপক ইমতিয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post