অনলাইন ডেস্ক
‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে ইউনেস্কোর ডকুমেন্টারি হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করতে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইউনেস্কোতে প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। রোববার (২৮ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর সৃষ্টি ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। তার বিখ্যাত ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে ইউনেস্কোর ডকুমেন্টারি হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ইউনেস্কোতে পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। আর এর পরদিন ২৫ মে ছিল কবির জন্মদিন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী বছর ২৪ মে থেকে নজরুল জন্মজয়ন্তীর জাতীয় অনুষ্ঠান শুরু করা হবে। যা ২৭ মে পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে আরও গবেষণামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী বই রচনায় আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত। বিশেষ করে নজরুল কোথায় কি লিখেছেন এবং বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ রচনার জন্য নজরুল গবেষকদের আহ্বান জানাচ্ছি।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে অন্যদের মধ্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. হামিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কবিপৌত্রী খিলখিল কাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব (উপসচিব) মো. রায়হান কাওছার। সবশেষে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
Discussion about this post