নিউজ ডেস্ক
নিজেদের রেশনের অংশ থেকে খাদ্য সামগ্রী বাঁচিয়ে করোনায় লকডাউনে বিপর্যস্ত দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ব। আতঙ্কে উদ্বিগ্নে স্থবির ও অচল সবকিছু। মানুষের জীবনের মূল্যকেই সবাই বড় করে দেখছেন। কিন্তু এই মহাদুর্যোগেও মানবতার টানে অতীতের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতোই নির্ভীকচিত্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সামাজিক দূরত্ব বা হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের বৃত্তের ভেতরই নিজেদের বন্দি না করে মানবিক হৃদয় নিয়েই দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় করোনার ছোবলে নিঃস্ব, অভাবী ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে সেনারা নিজেদের সমর্পণ করছেন।
সরকারের নির্দেশে প্রায় এক মাস যাবৎ দেশের ৬২ টি জেলায় সক্রিয় রয়েছেন সেনা সদস্যরা। তারা বেসামরিক প্রশাসনকে সর্বাত্নক সহযোগিতা দিচ্ছেন।
মাঠে থাকা সেনা সদস্যদের ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও সৎ সাহসের পরিচয় দিয়ে জনগণের পাশে থেকে তাদের আস্থা অর্জনের কঠোর বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘করোনা ভয়ে আমরা এক ইঞ্চিও পিছু হটবো না। জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা আমাদের পেশাদারীত্ব, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো।’
আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) ২১ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং আর্টডকের (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ মহোদয়ের গাইড লাইনে আমরা নিজেরা কম খেয়ে আমাদের রেশনের টাকায় গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি।’
তিনি জানান, আর্টডকের ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪ হাজার পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। অনায়েসে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ তারা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই খাবার খেতে পারছেন। খাবারের সন্ধানে এই সময়ে তাদের আর বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।
তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান স্যারের নির্দেশে নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনকল্যাণের মানসিকতা নিয়েই আমরা কাজ করছি। করোনার ভেতরেও অপার সম্ভাবনার দিকে, স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সাহস-শক্তি জুগিয়ে যাচ্ছি।’
Discussion about this post