শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন সেমিস্টার পদ্ধতি পরিচালনায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।
রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০২৩-২০২৫) এবং সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পরিচালক বেলাল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিস আহমেদ।
সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন তার প্রস্তাবে বলেন, দুই সেমিস্টার বা তিন সেমিস্টার কোনটি চালাতে চান, এ বিষয়ে সবাইকে একমত প্রকাশ করতে হবে। এ সময় সবাই তিন সেমিস্টার পরিচালনার পক্ষে মতামত দেন এবং সর্বসম্মতভাবে বছরে তিনটি সেমিস্টার পরিচালনায় সম্মত হন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আইন সংশোধন করে ইউজিসির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার ও ইউজিসিকে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী ও অধ্যাপক শফিক সিদ্দীক, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ইশতিয়াক আবেদীন, কোষাধ্যক্ষ কে বি এম মঈন উদ্দিন চিশতী, কার্যকরী সদস্য পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, কার্যকরী সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বক্তব্য দেন।
আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে তিন সেমিস্টার পদ্ধতিতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষিত জাতি গঠনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাসের অনুমোদন বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মূলনীতির পরিপন্থী। কেননা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ পরিচালিত হয় ট্রাস্টের অধীন অলাভজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। যেকোনো মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করার রেওয়াজ থাকলেও, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। শিক্ষানুরাগী উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায়, এ খাতের প্রকৃত সমস্যাগুলো যেমন তুলে ধরা সম্ভব হয়না, তেমনি আলোচনা ছাড়া কর্তৃপক্ষের নতুন সিদ্ধান্তসমূহ প্রকৃত পক্ষে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি করছে।
সভায় আরো বলা হয়, দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ নেই। যার কারণে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না।
মতবিনিময় সভায় নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসেফিকসহ দেশের ৭০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্যরা অংশ নেন এবং মতামত তুলে ধরেন।
Discussion about this post