আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কৃত কভিড-১৯ বা নভেল করোনার ভাইরাসের টিকা মানবদেহে প্রয়োগের পর তা রীতিমত হইচই সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে। এপ্রিলের শেষভাগে মানবদেহেও প্রয়োগ করা হয়েছে। যার ফলাফল জানা যাবে আসছে মধ্য জুনে।
শুধু তাই নয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এটা সফলভাবে কার্যকর ধরে নিয়ে উৎপাদনে যেতে ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করে ফেলেছে।
অক্সফোর্ডের বিশেষজ্ঞরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নেতৃত্বদানকারি ওষুধ প্রস্তুতকারি এস্ট্রাজেনেকা এবার যুক্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে।
বৃটিশ-সুইডিশ এই ফার্মসিউটিক্যালস কোম্পানি বড় আকারে উৎপাদনে যাবে। যেখানে অক্সফোর্ডের টিকা আবিষ্কারক সারাহ গিলবার্ট আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন টিকার ডোজ বাজারে আনবেন তারা।
বৃটিশ সরকার এজন্য ২০ মিলিয়ন পাউন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটকে ইতিমধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে। ১২’শ স্বেচ্ছাসেবির শরীরের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এস্ট্রাজেনেকা’র সঙ্গে অংশিদারিত্বে যাওয়ার বিষয়ে অক্সফোর্ড অধ্যাপক স্যার জন বেল বলেন, ভবিষ্যতে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য এটাই হচ্ছে মূখ্য শক্তি। ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। আশা করি, মধ্য জুনেই ফলাফল হাতে পাবো। এখন বড় আকারে উৎপাদনে যাওয়াই চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরো বলেন, আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, উন্নয়নশীল দেশগুলো, যেখানে বেশি প্রয়োজন তারাও যেন এটা উৎপাদনে যেতে পারে।
সম্প্রতি সরকারের টাস্কফোর্স গঠনের পর এবারই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশিদারিত্বে গেল বৃটেন। এতে দু’পক্ষই টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়াটি মহামারি চলাকালীন অলাভজনকভাবে পরিচালনা করবে। উৎপাদন ব্যয় ছাড়া বাড়তি কোনো মূল্য নেবে না।
এস্ট্রাজেনেকা’র প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সরিওট বলেছেন, আগামী জুন, জুলাইতেই জানা যাবে অক্সফোর্ডে টিকা মানবদেহে কার্যকর কিনা। এরপর আমরা যতদ্রুত সম্ভব টিকাটি রোগীর কাছে পৌঁছে দেবো।
বৃটিশ স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, এস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে অংশিদারিত্বের বিষয়টি একটি বিরাট স্বাগতিক খবর।
এক টুইটে তিনি বলেছেন, অক্সফোর্ড আবিষ্কৃত টিকাটি বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত কভিড-১৯ টিকার অগ্রগামীদের মধ্যে একটি।
বিজ্ঞান এখনো অনিশ্চিত যে, টিকাটি কাজ করবে কি-না। কিন্তু এটা ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে রুখে দিতে যুক্তরাজ্যের জন্য একটা বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
Discussion about this post