শিক্ষার আলো ডেস্ক
সিজিপিএ শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছে, এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।
অন্যদিকে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় সিজিপিএ সিস্টেম শিথিল করে অকৃতকার্য বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়ার দাবিতে গত ১৬ আগস্ট থেকে নানা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের একদফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন সাত কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘’এখন আমাদের নিয়ম হচ্ছে প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ পেতে হবে। তা না হলে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হবে। আমরা চাই এই সিজিপিএর শর্ত শিথিল করা হোক।’
‘ধরুন প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী ফাইনাল পরীক্ষা দিল। ৮-৯ মাস পরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা গেল সে অকৃতকার্য হয়েছে, অর্থাৎ সিজিপিএ ২ এর কম পেয়েছে। এখন এই ৯ মাস কিন্তু সে দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাস করেছে। এখন অকৃতকার্য হওয়ার ফলে তাকে আবার প্রথম বর্ষের সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু সে তো ৯ মাস দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাস করল, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষাও দিল। এখন প্রথম বর্ষের সব বিষয়ে আবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবে কীভাবে?,’
ড. কুদ্দুস সিকদার বলেন, সিজিপিএ শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলছি। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের যে নীতিমালা রয়েছে সেটির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারপরও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমাদের জানা আছে। এ দাবিগুলো- আমাদের কলেজের অধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কলেজ প্রশাসনের যেসব দায়বদ্ধতার জায়গা রয়েছে সে বিষয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
তবে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কোনো বিষয়ের ফল প্রকাশ করতে ৮-৯ মাস সময় নেয় সেটি কাম্য নয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা একমত। ফল প্রকাশে দীর্ঘসময়ের প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য একক পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। অথচ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষক ও নিরীক্ষক থাকতে হয়, যাতে শিক্ষার্থী পুরোপুরি ন্যায়বিচার পান। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো একক পরীক্ষক রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত ফল প্রকাশ করা যায়। তারপরও যদি ফল প্রকাশ এত দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়।
এ সময় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থীর প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ পেতে হবে। তা না হলে ওই শিক্ষার্থীকে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হবে।
Discussion about this post