শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দিয়ে ক্ষুদ্র অলিম্পিয়াড, বাংলা অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে সচিব বলেন, প্রাথমিকের বাচ্চাদের মেধা বা সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য কীভাবে উৎসাহিত করতে পারি, এই প্রক্রিয়া বের করার জন্য আমরা টেকনিক্যাল কমিটি করে দিয়েছি। সেখানে আমাদের কিছু সুপারিশ এসেছিল যেমন- ক্ষুদ্র অলিম্পিয়াড, বাংলা অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এ ধরনের কার্যক্রম করা। এছাড়া এক্সট্রা কো-কারিকুলাম একটিভিটিতে উৎসাহিত করার জন্য দেশব্যাপী কম্পিটিশন করা। ইতোমধ্যে আমাদের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের মধ্যে আমরা এটি অন্তর্ভুক্ত করেছি। যেমন- নাচ, গান ও আবৃত্তি এগুলোকে উৎসাহিত করছি। এছাড়া, কোচিং মুখিতা নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা যে সাব-কমিটি করে দিয়েছি তারা আমাদেরকে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। আমরা তাদের আরও একমাস সময় দিয়েছি, সেটি দিলে আমরা ওই দিকে যাব। কিন্তু আমরা বৃত্তি পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বৃত্তি নয়, তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য অনুপ্রেরণামূলক আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তা আমরা তাদের দেব।
সচিব আরো বলেন, এখন শিক্ষার যে পরিবর্তন হয়েছে এটা শুধুমাত্র পরিমার্জন না, এটা একেবারে রূপান্তর হচ্ছে। রূপান্তরের কারণে ২০১০ সালে যে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ছিল তা পুরো পরিবর্তন করে, এবারে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ করা হয়েছে।
পরিবর্তিত শিক্ষা কার্যক্রমে প্রাক-প্রাথমিক বা প্রাথমিক পর্যায়ে কোচিং মুখিতাকে শতভাগ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জানিয়ে ফরিদ আহম্মদ বলেন, এতে কম্পিটিটিভ পরীক্ষা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়নকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
Discussion about this post