শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও মানবসম্পদের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়ছে। দ্রুত গতি এবং নির্ভুল হওয়ার জন্য বাংলাদেশেও এখন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। চতুর্থ নয় পঞ্চম শিল্প বিপ্লব ছুঁয়ে দেওয়া সম্ভব আমাদের পক্ষে। আমাদের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। স্কুল পর্যায়ে প্রোগ্রামিং , রোবটিং এগুলোর প্রতি যদি হাতেখড়ি দেওয়া হয় তাহলে শিশুদের চিন্তাশক্তি যেভাবে বিকশিত হবে আর তারা যে যৌক্তিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে সেটা আমাদের জন্য খুব দরকার।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দুইদিন ব্যাপী ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড – ২০২৩, জাতীয় পর্বের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বে শিক্ষাক্ষেত্রের অনন্য উদাহরণগুলোকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারাদেশে ৩০০ টি স্কুলকে স্মার্ট স্কুল হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। তার মধ্যে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অন্যতম।
নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে আমরা ২০১৭-১৮ সালে গবেষণা করেছিলাম সেখানে আমরা ভেবেছলাম আগের যে শিক্ষাক্রম বা এখনো কিছু শ্রেণিতে যে শিক্ষাক্রম চালু আছে সেটা আমাদের জন্য কতটুকু উপযোগী এবং সামনে যে দিন আসছে তার জন্য কতটা উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে তৈরি করছে। কিন্তু আমারা দেখেছি যে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে মুখস্ত বিদ্যা বাদ দেওয়ার চেষ্টা করলেও সেটা খুব ফলপ্রসূ হয়নি। তাই আমাদের মনে হয়েছিলো যে আমাদের অনেক জায়গায় পরিবর্তন আনা দরকার। এবং শুধু পরিবর্তন বা সংস্করণ নয় একটা রূপান্তর প্রয়োজন। সে লক্ষ্যেই ২০১৭-১৮ সালের গবেষণার ফলাফল আর বৈশ্বিক যে পুরো চিন্তা এই সব কিছুকে মিলিয়ে আমরা চিন্তা করলাম শিক্ষায় একটা রূপান্তর ঘটাতে হবে এবং সেই জন্য আমাদের নতুন একটা শিক্ষাক্রমে যেতে হবে। সেই নতুন শিক্ষাক্রমের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত শিক্ষা বিষয়ক কোনো আলোচনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে যায় না কিন্তু আমরা আমাদের এই পরিকল্পনা আমাদের পেইজে আপলোড দিয়েছি, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এবং আমাদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও উত্থাপন করেছি এবং মতামত নিয়েছি। এবং সবশেষে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে এটি উত্থাপন করেছি। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন এবং অনুমোদন দেওয়ার পরেই আমরা কয়েকটি শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে একাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্রোঞ্জ,সিলভার এবং গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। বক্তৃতা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post