শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের ৬টি জেলায় নতুন ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। একই সাথে তিন জেলায় আপাতত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন নেই মর্মে মত দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ মতামত দেওয়া হয়।
ইউজিসির সুপারিশে বলা হয়েছে কক্সবাজার, ভোলা, নড়াইল, রাজবাড়ী, জয়পুরহাট এবং বরগুনায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। আর গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ এবং রংপুরে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন নেই মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে রাজবাড়ীতে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হলো। উক্ত জেলার পার্শ্ববর্তী দুইটি জেলায় (পাবনা ও কুষ্টিয়া) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও দূরত্ব বিবেচনায় রাজবাড়ীতে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে।
দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। জেলাটি দ্বীপ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের সাথে এর দূরত্ব অনেক। এই জেলায় বর্তমানে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হলো। ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য বিজ্ঞান; দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে।
জয়পুরহাটে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হলো। এ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত বিষয় হিসেবে ভৌগলিক অবস্থান ও খনি প্রাপ্তি বিবেচনায় কৃষি; ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা এবং প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।
কক্সবাজারে ‘কক্সবাজার বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হলো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট; সমুদ্রবিজ্ঞান; দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্য বিজ্ঞান বিষয় প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে।
নড়াইলে ‘এস এম সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হলো। শিল্পী এস এম সুলতানের স্মৃতিবিজড়িত স্থান বিধায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে।
বরগুনা জেলা হতে পার্শ্ববর্তী জেলাসমুহে কম দূরত্বে বর্তমানে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় এই জেলায় একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হলো। ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় মৎস্য বিজ্ঞান; দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা; সমুদ্রবিজ্ঞান; জলবায়ু সহনশীল কৃষি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ সংক্রান্ত বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।
Discussion about this post