শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষা ক্যাডারদের চলমান দাবিগুলোকে যৌক্তিক বলে একমত প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি ধারাবাহিকভাবে এসব দাবি পূরণের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে সারা দেশে ১৭ ও ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কর্মবিরতি কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা ক্যাডাররা।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবরের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।
এর আগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা সব সময়ই শিক্ষকদের দাবি পূরণে সচেষ্ট। শিক্ষকরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। নির্বাচনের আগেই শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি হবে।
এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করছি, আমাদের দাবিগুলো দ্রুতই পূরণ হবে। আজকের সবগুলো বিষয় নিয়ে সাংগঠনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (কর্মবিরতি প্রত্যাহার) জানাব। আমাদের দাবি দাওয়া পূরণের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, যোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতি, নতুন পদ সৃষ্টি, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাউশি প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করে। এরপর ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর দেশের সব সরকারি কলেজ, মাদ্রাসা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সব শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে সরকারি কলেজগুলোতে গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) কোনো ক্লাস ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হয়নি। ভর্তি, ফরম পূরণ, প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমও বন্ধ ছিল।
Discussion about this post