শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। পিছিয়ে পড়েছে যশোর বোর্ড।
কারিগরি বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ; যশোরে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বেশি ঢাকা। ৩১ হাজার ৭৫২ শিক্ষার্থী এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সর্বনিম্ন জিপিএ-৫ সিলেটে, ১ হাজার ৬৯৯ জন।
আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসির ফল প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
কারিগরি বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশালে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেটে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোরে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গতবছর যা ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৮২। সে হিসেবে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৭৮৭ জন।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩১ হাজার ৭৫২ জন, রাজশাহীতে ১১ হাজার ২৫৮ জন, যশোরে ৮ হাজার ১২২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৯৭ জন, কারিগরিতে ৭ হাজার ৯৭৭ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ৪৫৯ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৩৩৯ জন, কুমিল্লায় ৫ হাজার ৬৫৫ জন, বরিশালে ৩ হাজার ৯৯৯ জন, ময়মনসিংহে ৩ হাজার ২৪৪ জন এবং সর্বনিম্ন সিলেটে ১ হাজার ৬৯৯ জন।
এ বছর বিদেশের আটটি কেন্দ্রে মোট ৩২১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে পাস করেছে ৩০৩ জন। পাসের হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
Discussion about this post