শিক্ষার আলো ডেস্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬ষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ডিন ড. সাদেকা হালিমকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। শর্ত অনুযায়ী উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে আগামী ৪ বছর পর্যন্ত। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন। এছাড়া বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
সাদেকা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদেরও প্রথম নারী ডিন ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন-নোবিপ্রবির নতুন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন
সাদেকা হালিমের পিতা ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে। সাদেকা হালিম ঢাকার উদয়ন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
সাদেকা হালিম কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন। পরে কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনেট সদস্য ছিলেন। এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি ২০০৯-এর কমিটিতেও তিনি সদস্য ছিলেন।
পেশাগত জীবনে সাদেকা হালিম অতিথি অধ্যাপক হিসেবে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার বকু বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজ বিভাগ ও আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার এডুকেশন লিংক প্রোগ্রামের অধীনে কুইন্স-এর ভিজিটিং ফেলো ছিলেন তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার লেখা প্রায় ৫০টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লিঙ্গ-সমতা, বন ও ভূমি, উন্নয়ন, আদিবাসী ইস্যু, মানবাধিকার এবং তথ্য অধিকার প্রভৃতি তার গবেষণার বিষয়বস্তু।
Discussion about this post