অনলাইন ডেস্ক
বরাবরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পবিত্র কোরআনের বাণী ছড়িয়ে দিতে এবং মুসলিম উম্মাহর সঠিক পথে চলার শক্তি জোগাতে অষ্টমবারের মতো এ আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশটি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।
এ কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশিদেরও অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজকরা। বিএনসিইউ আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে আগ্রহীদের আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিএনএসইউ থেকে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অষ্টম আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে উপযুক্ত প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-৪৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ বাংলাদেশ
চিঠির সঙ্গে ইরানের আমন্ত্রণপত্র ও আবেদনের নিয়মকানুন বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৬ ডিসেম্বর। এরপর ১৮-২১ ডিসেম্বর প্রাথমিকভাবে আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। জানুয়ারি মাসে অনলাইনে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নির্বাচিতরা ফেব্রুয়ারি মাসে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যোগ্যতা ও আবেদনের নিয়ম দেখুন এখানে-
ছেলে ও মেয়ে উভয়ই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আবেদন করতে পারবেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে পুরো কোরআন মুখস্ত পড়া এবং তাহকিক-এ দুই ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা হবে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরো কোরআন মুখস্ত পড়া এবং তারতিল ক্যাটাগরি থাকবে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী যে কোনো একটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর প্রার্থী ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে পারবেন না। আবেদনকারী যে বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান, তাকে সেই বিষয়ে যোগ্য হতে হবে। নিজ দেশের অথবা আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অথবা ভালো ফল করা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
প্রসঙ্গত, মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশি হাফেজদের রয়েছে আলাদা মর্যাদা। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজরা বরাবরই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের অনন্য অবদানে প্রায়ই বিশ্বমিডিয়ায় শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post