অনলাইন ডেস্ক
আজ দেশ বরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এমএ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, স্মৃতিচারণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল, গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
এদিকে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার জন্মবার্ষিকীতে স্মরণিকা প্রকাশ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া তার কর্ম জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ সাধনই ছিল তার চিন্তার মূল প্রতিপাদ্য। শেখ হাসিনা ‘বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারের’ পক্ষ থেকে ‘বাতিঘর’ নামক স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তানিদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া সব সময় সোচ্চার ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধেও তার বিশেষ অবদান ছিল। এই নিরহংকার, নির্লোভ, ক্ষমতাবিমুখ মানুষটি তাই সর্বজন শ্রদ্ধেয় স্মরণীয়। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতি ধরে রাখার উদ্দেশ্যে তার স্নেহধন্য কয়েকজন বইপ্রেমী মানুষ ২০১৪ সালে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন।
আরো পড়ুন-একুশে পদক পাচ্ছেন ঢাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ
প্রসঙ্গত: ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এই বিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। পিতা মরহুম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জুন নেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ।
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী ও পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়শোনার পর তিনি ১৯৫২ সালে রংপুর শহরের সরকারি জেলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।১৯৫৮ সালে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
Discussion about this post