শিক্ষার আলো ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববদ্যিালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপগুলোর মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এসব সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া বিবৃতিতে অছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ত্যাগ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুগ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সাথে আজ কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রী সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, ইতিপূর্বে যারা এই ধরনের সহিংসতায় জড়িত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অছাত্রদের হল ত্যাগ নিশ্চিতকরণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বগিভিত্তিক সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনার জেরে সেদিন রাতেও সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ছাত্রলীগের এই দুই পক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল রাতে এই দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। বিজয় গ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীর সমর্থকদের এবং ৬৯ গ্রুপ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সমর্থকদের গ্রুপ বলে পরিচিত।
বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের জেরে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯টায় পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান চালায় প্রশাসন। এসময় হলগুলো থেকে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, বাঁশ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
Discussion about this post