কক্সবাজার হবে ডিজিটাল সার্ফিং সিটি।। শার্কের বদলে সার্ফিং ভাস্কর্য নির্মাণের পরামর্শ
ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে যাচ্ছে আইসিটি বিভাগ। এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সমুদ্রের নিচ দিয়ে যেভাবে বিদ্যুত সংযোগ সন্দ্বীপে পৌঁছে দেয়া হয়েছে সেভাবে কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন, হাতিয়া ও রাঙবালিসহ সকল বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে বিদ্যুত ও ইন্টারেনট পৌঁছে দেয়া হবে।
এজন্য ‘ডিজিটাল লাইফ’ নামে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কক্সবাজারকে ডিজিটাল সার্ফিং সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কক্সবাজারে ১৭০ কোটি টাকায় ব্যায়ে নির্মিত হবে আইটি পার্ক। ইতিমধ্যেই এই পার্কের টেন্ডার শেষে এখন কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফ্রি ওয়াইফাই জোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা জানান মন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে আইসিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেননা লক্ষ্য যাই হোক আগামীতে সকল পেশার জন্য আইসিটি বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকতে হবে। হাতে কলমে প্রযুক্তির ব্যবহার শেখাতে দেশেজুড়ে ৮ হাজার স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
তরুণ সমাজেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণ সমাজ তথ্য ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুধু ফেসবুকিং করলে হবে না। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করতে হবে।
বক্তব্যের শেষে তিনি কক্সবাজার বিচে প্রবেশের পথে শার্কের মূর্তীর বদলে কোনো শিশু সার্ফিং করছেন এমন একটি বিমূর্ত স্বারক নির্মাণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফোরকান আহমেদ, কক্সবাজার-২ এর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, – বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post